বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়ার যোগ্যতা সম্পর্কে জানতে চাই।
বিদেশে স্কলারশিপ পাওয়া খুব একটা সহজ নয় যেহেতু সারা বিশ্বের স্টুডেন্টরা এটির জন্যে প্রতিযোগীতা করে থাকে। তবে সঠিক প্রস্তুতি নিলে এটি অবশ্যই সম্ভব। বলতে গেলে প্রায় প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় ও সংস্থার স্কলারশিপের জন্য নির্দিষ্ট যোগ্যতার প্রয়োজন থাকে। তবে কিছু সাধারণ যোগ্যতা প্রায় সব ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। নিচে এর কিছু বর্ননা দেয়া হলোঃ
একাডেমিক রেজাল্ট: সাধারণত স্কলারশিপের জন্য মোটামুটি ভালো CGPA (যেমন ৩.৫ বা তার বেশি) ম্যাটার করে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে CGPA এর পাশাপাশি গবেষণার জন্য ব্যাকগ্রাউন্ড বা প্রাসঙ্গিক কোর্সও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
ভাষার দক্ষতা: প্রায় সব দেশেই স্কলারশিপের জন্য IELTS, TOEFL বা PTE-এর ভালো স্কোর থাকা দরকার ( যেমন IELTS ৬.৫+ বা TOEFL ৮০+)। কিছু স্কলারশিপে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াশোনা করলে ভাষার পরীক্ষার প্রয়োজন হয় না। তবে সেফ সাইডে থাকার জন্যে এই পরীক্ষাগুলো দিয়ে রাখা ভালো।
স্টেটমেন্ট অব পারপাস (SOP): স্কলারশিপের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ পার্ট হলো SOP। এটি আপনার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা, ক্যারিয়ার লক্ষ্য ও স্কলারশিপ কেন প্রয়োজন তা ব্যাখ্যা করার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটা যতটা স্পষ্ট ও ভ্যালুয়েবল হবে, স্কলারশিপ পাওয়ার সম্ভাবনাও তত বাড়বে।
এক্সট্রা-কারিকুলার অ্যাক্টিভিটিজ: স্বেচ্ছাসেবামূলক কাজ, লিডারশিপ এক্টিভিটিজ বা গবেষণামূলক কাজ স্কলারশিপের ক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা দিতে পারে। অনেক স্কলারশিপ প্রোগ্রাম কমিউনিটি সার্ভিস বা সামাজিক কাজকে গুরুত্ব দেয়।
সুপারভাইজার বা রেফারেন্স লেটার: বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আপনার প্রোগ্রামের টিচারদের কাছ থেকে রেফারেন্স লেটার নিতে হবে। এটি আপনার দক্ষতা, গবেষণার মান ও একাডেমিক পারফরম্যান্স সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা দিবে।
কর্ম অভিজ্ঞতা: কিছু স্কলারশিপে সংশ্লিষ্ট ফিল্ডে কর্ম অভিজ্ঞতা থাকা বাধ্যতামূলক। বিশেষ করে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামের জন্য কাজের অভিজ্ঞতা বড় ভূমিকা রাখে।
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে আবেদন করতে হয়। যথাযথ প্রস্তুতি, সময়মতো প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেওয়া এবং আবেদনপত্রকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা সফলতার সম্ভাবনা বাড়ায়।