স্কলারশিপ এর জন্য কোন দেশ ভালো হবে? পড়াশোনার খরচ, থাকা খাওয়া এবং চাকরির সহজলভ্যতা হিসেব করে কোন দেশ সবচেয়ে ভালো হবে?
শুরুতেই বলে নেই যে একেবারে সহজেই কোথাও স্কলারশিপ পাওয়া যায় না। স্কলারশিপ পাওয়া সহজ বা কঠিন নির্ভর করে দেশের নীতিমালা, বিশ্ববিদ্যালয়ের ফান্ডিং, এবং আবেদনকারীর যোগ্যতার ওপর। তবে কিছু দেশ নিয়মিতভাবে বেশি সংখ্যক স্কলারশিপ দেয় এবং তুলনামূলকভাবে সহজ শর্ত রাখে।
১. জার্মানি: জার্মানির DAAD স্কলারশিপ এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি ফান্ডিং আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়। এখানে অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে টিউশন ফি নেই বা খুব কম। ভালো একাডেমিক রেকর্ড থাকলে স্কলারশিপ পাওয়া সহজ হয়। প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অসংখ্য স্টুডেন্ট জার্মানীতে যায়।
২. নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড: স্ক্যান্ডিনেভিয়ান দেশগুলোতে টিউশন ফ্রি বা খুবই অল্প খরচে শিক্ষাব্যবস্থা আছে। কিছু স্কলারশিপ সরাসরি টিউশন কভার করে, তবে লিভিং কস্টের জন্য আলাদা ফান্ড দরকার হতে পারে।
৩. চীন: চীনের CSC (Chinese Government Scholarship) প্রতি বছর হাজার হাজার শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেয়। তুলনামূলক কম প্রতিযোগিতা থাকায় বাংলাদেশ থেকে অনেকেই এই সুযোগ নিয়ে থাকে।
৪. তুরস্ক: তুরষ্কে পড়াশোনা বর্তমানে আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। Türkiye Burslari এক্ষেত্রে খুবই ভালো একটি অপশন যেখানে টিউশন ফি, আবাসন এবং মাসিক ভাতা সহ অনেক সুযোগ সুবিধা দেওয়া হয়। প্রয়োজনীয় যোগ্যতা থাকলে সুযোগ পাওয়া তুলনামূলক সহজ।
৫. মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ড: এশিয়ার এই দেশগুলোর সরকারি ও বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক স্কলারশিপে আবেদন সহজ এবং প্রক্রিয়াও তুলনামূলক কম জটিল। অনেক ক্ষেত্রে গবেষণা ভিত্তিক আবেদন হলে সুযোগ বেশি থাকে।
স্কলারশিপ পাওয়ার জন্য আগে থেকেই প্রস্তুতি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। আবেদন প্রক্রিয়া, নথিপত্র ও অন্যান্য শর্ত সম্পর্কে এক্সপার্ট কারো কাছ থেকে আরো বিস্তারিত জেনে নেওয়া উচিত।
আপনার জন্য শুভকামনা।