আমি আল আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়াশোনা করতে ইচ্ছুক। বিস্তারিত জানতে চাই।
আল-আজহার বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কলারশিপ নিয়ে পড়তে যাওয়া একটি চমৎকার সিদ্ধান্ত! আল-আজহার মূলত ইসলামিক স্টাডিজ, আরবি ভাষা এবং অন্যান্য বিষয়ে বিশ্বমানের শিক্ষা দেয়। তবে স্কলারশিপ পাওয়া একটু প্রতিযোগিতামূলক কারন সারা পৃথিবী থেকেই স্টুডেন্টরা উদগ্রীব থাকে এখানে পড়ার জন্য। তাই সঠিক পরিকল্পনা করে এগোতে হবে।
প্রথমেই জানিয়ে রাখি এখানে দুই ধরনের স্কলারশিপ আছে।
১। মিশর সরকারের স্কলারশিপ: এটা বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশের মুসলিম শিক্ষার্থীদের জন্য।
২। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব স্কলারশিপ: এটি একাডেমিক পারফরম্যান্স ও আর্থিক অবস্থার ভিত্তিতে দেওয়া হয়।
মিশর সরকারের স্কলারশিপের জন্য মূলত নিম্নোক্ত বিষয়গুলো দেখতে হয়—
১। একাডেমিক রেজাল্ট: ভালো মাদ্রাসা বা ইসলামিক স্টাডিজ ব্যাকগ্রাউন্ড থাকলে ভালো হয়।
২। আরবি ভাষার দক্ষতা: কিছু স্কলারশিপে আরবি ভাষার উপর পরীক্ষা নেওয়া হয়।
৩। সঠিক নথিপত্র: শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ, পাসপোর্ট, মেডিকেল রিপোর্ট এবং রেফারেন্স লেটার জমা দিতে হবে।
সাধারণত প্রতি বছর মার্চ-এপ্রিলের দিকে আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং জুলাই-আগস্টের মধ্যে অফার লেটার পাওয়া যায়। তবে, বিভিন্ন দেশের দূতাবাস বা ইসলামিক ফাউন্ডেশন এসব বিষয় দেখভাল করে, তাই তাদের ওয়েবসাইট নিয়মিত চেক করা ভালো।
আবেদনের জন্য নিম্নোক্ত জায়গায় নজর রাখতে হবেঃ
১। বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন: তারা মিশর সরকারের স্কলারশিপের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে।
২। মিশরের বাংলাদেশ দূতাবাস: কখনো কখনো তারা সরাসরি গাইডলাইন দেয়।
৩। আল-আজহারের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: এখানে সরাসরি স্কলারশিপের তথ্য পাওয়া যায়।
এছাড়াও যদি স্কলারশিপ না পাওয়া যায় তাহলে সেলফ-ফান্ডেড (নিজের খরচে) আবেদন করা যেতে পারে, যেখানে কিছু বৃত্তি পেলে খরচ কমে আসবে। এছাড়া ভালো রেজাল্ট করলে পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কলারশিপ পাওয়ার সুযোগ থাকে।